ঈশ্বর কণার চেয়ে সূক্ষ্ম অস্তিত্বের খোঁজে
যতদূর স্পন্দন অনুভূত হয়
তেমন প্রগাঢ় নিশ্বাসে তুমি মিশে আছ
আমি ভুল করি বারবার তোমার মানবিক সত্ত্বাকে আঁকড়ে
অনেক বেশি গভীর গুল্মের অলঙ্কারে সাজানো বনদেবীর মতো লাগে তোমায়…
ধূসর স্বপ্নের ঘুম ভেঙ্গে গেলে
একরাশ কষ্ট – খোলা জানালার বাইরে অপেক্ষারত…
বিনিদ্র রাত,
আমায় চুরমার করে দেয়…
আধুনিকতার মড়কের বিপরীতে
গহীন এক বোধ
সারা শরীর অবশ হয়ে আসে
ক্লান্ত পথিকের মতো আশ্রয় চাই তোমার নিভৃতে…
তুমি তো বৃষ্টি উপহার দাও তৃষ্ণার্তকে
তবে কেনো এতটা কান্না, অযত্ন, যন্ত্রণা লেগে প্রতিটা শিকড় গুচ্ছে!!!
স্মিত হেসে বলো, এ ‘ তো ভালোবাসার পরিণাম মাত্র’…
বিস্মিত
ক্রমে যখন গুল্মময় শরীর ছুয়ে দেখি…
অবিশ্বাস্য রকম বিশ্বাস করতে মন চায়…
তোমায়, হে বনদেবী…
জন্মান্তরের শাপমুক্তির আশায়
নতজানু আজ…
তুমি সবুজাভ যৌবনের প্রশ্বাস ভরে দাও হৃদয়ের গহন প্রকোষ্ঠে
যেখানে শুধুই তোমার পদচারণার স্তব্ধতা…
আমি এই জন্মের সব লেন দেন চুকিয়ে মিশে যাই তোমার বোধে… আর…